খুলনা জেলা কারাগারে রমরমা ক্যান্টিন বাণিজ্যর ব্যাপারে আইনী সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে কারা উপ-মহাপরিদর্শক, খুলনার রেঞ্জের তদন্ত কার্যক্রম

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইনী সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় কর্তৃক গত-১১/০৫/২০২৪ স্মারক নং -আসক/২০২৪/১০২ কারা মহাপরিদর্শক বরাবর একটি অবগতি পত্র গ্রহণপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে একটি আবেদন পত্র প্রদান করা হয়। বিনামূল্যের খাবারের মান ভালো না হওয়ায় উচ্চমূল্যে ক্যান্টিনের খাবার কিনে খেতে বাধ্য হয় বন্দিরা। বিশেষ করে খুলনা কারাগারে চলছে অনুমোদনহীন রমরমা ক্যান্টিন বাণিজ্য যাহা বন্দি আসামিদের জন্য ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।

 

২০০৯ সালে কারা কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কারাবন্দিদের জন্য ‘হালকা ও বেকারিজাতীয় খাবার’ পরিবেশনের অনুমতি নেয়। সেই অনুমতির সূত্র ধরে কারা কর্মকর্তারা বছরের পর বছর আসামিদের কাছে দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে মাছ-মাংসসহ উন্নত মানের খাবার বিক্রি করে।

 

আসক ফাউন্ডেশনের একটি অনুসন্ধান টিমের প্রতিবেদনে এমন তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে আইজি প্রিজন মহোদয়ের কাছে ।

কারা কর্তৃপক্ষ ২০০৯ সালে হালকা খাবারের অনুমতি নেওয়ার সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছিল, ক্যান্টিনের আয় থেকে অর্ধেক ব্যয় হবে কারাবন্দিদের কল্যাণে। বাকিটা কারারক্ষীদের কল্যাণে।

 

কিন্তু পূর্বে দুদকের একটি প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ক্যান্টিনকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি হচ্ছে। কারাগারে বেকারিজাতীয় খাবারের জন্য ক্যান্টিন পরিচালনার অনুমতি দেয় মন্ত্রণালয়। সেই অনুমতির সূত্রে এখন যেভাবে কারা ক্যান্টিন পরিচালনা করা হচ্ছে, তা অনুমোদনহীন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

উক্ত অভিযোগের বিষয়ে খুলনা জেল সুপার জানান কারা ক্যান্টিনগুলোতে মূল্য তালিকা আছে। ওই তালিকার বাইরে খাবার বিক্রির সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বন্দিদের খাবারের সুবিধার জন্যই ক্যান্টিন চালু আছে । কেবল হালকা খাবারের জন্য ক্যান্টিনের অনুমতি নেওয়া হয়নি। বন্দিদের খাবার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্যই ক্যান্টিনের অনুমতি নেওয়া হয়।

সংস্থার অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক মোঃ শাহাদাত হোসেন শাওন গত ২৪শে জুন ২০২৪ ইং খুলনা জেলা কারাগারে উপ-মহাপরিদর্শক, খুলনার রেঞ্জের তদন্ত কার্যক্রমে তিনি বলেন আসামিদের একটা বড় অংশ বাইরে থেকে বা পরিবারের টাকায় কারাক্যান্টিন থেকে দামি খাবার খাওয়ার সুযোগ পান। বন্দিরা তাদের পরিবারের কাছ থেকে পাঠানো অর্থের বিনিময়ে কারা ক্যান্টিন থেকে রান্না করা ভারী খাবার কিনে খান। তাই পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উচ্চমূল্যে ক্যান্টিনের খাবার কিনে খেতে বাধ্য হন তারা। তিনি আরও জানান খুলনা জেলা কারাগার একটি সূত্র থেকে একটি নথি আসে। নথি/পত্র টি যাচাই বাছাই করে সংস্থা উপলব্ধি হয় খুলনা জেলা কারাগারে যে সকল বন্দি (কয়েদি ও হাজতি) আছে তাদেও সরকারের পক্ষ থেকে দৈনিক যে খাবার বরাদ্ধ আছে তাহার প্রায় ৫০% শতাংশ কম পাচ্ছে বন্দি (কয়েদি ও হাজতি) গন। উক্ত বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে খুলনা জেলা কারাগারে কয়েকজন কয়েদি ও হাজতিগনের সাথে কথা বলে জানতে পারি উক্ত নথী পত্র বন্দিদের পক্ষে সংস্থায় প্রেরণ করেছে এবং উক্ত বিষয়ে অত্র সংস্থা সরোজমিনে কিছু ঘটনা বাস্তবতা প্রকাশ পায় তাছাড়া কিছু মিথ্যা বলে বিবেচিত হয়। উক্ত বিষয়ে অত্র সংস্থার পক্ষে সাফাই সাক্ষী প্রদান করা হয়।

Md. Shawon

VIEW ALL POSTS

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *