চট্টগ্রাম পূর্ব কাটগড়, উত্তর পতেঙ্গা, গ্রামে সৎ ছেলের বিরুদ্ধে ৩২ বছরেরএক মহিলা ধর্ষণ মামলা করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
গত সোমবার (৯ই সেপ্টম্বর -২০২৪ ইং ) মামলার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন ডবলমুরিং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ।
এজাহারের বরাত দিয়ে তিনি জানানগত ০৬/০৯/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা ০৭:০০ ঘটিকায় বাদী কোহিনুর আকতার (৩৭) জানান ডবলমুরিং মডেল থানাধীন মতিয়ারপুল কাটা বটগাছ আহসান উল্লাহ সওদাগর বাড়ীর ২য় তলায় আসামীর বসতঘরে তাহার ১নং আসামী আমার সং ছেলে আমার স্বামীর মৃত্যুর পর জায়গা জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে প্রায় সময় আমাকে মারধরসহ সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে থাকে। ১নং আসামীসহ আমার বামননিং অপরাপর আসামীগণের এহেন অত্যাচারে আমি আমার স্বামীর ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত বিল্ডিং ভাড়া দিয়ে আমি ৩৮ গঠন ০৮/৯/১৪ পিড়ালয়ে বসবাস করি। গত ০৬/০৯/২০২৪ তারিখ ভাড়াটিয়ার ঘরে প্রবেশ করা মাত্রই ২নং আসামী আমার চুলের মুঠি ধরে টান মারিয়া ১নং আসামীর জোরপূর্বক ঘরে নিয়ে যায়। আমি ডাক চিৎকার করিলে সকল আসামীগন পরস্পর দরজা বন্ধ করে আমাকে জোর পূর্বক ধাক্কা দিয়ে ফ্লোরে ফেলে দেয় এবং ২নং আসামী হাসিনা মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও করতে করতে বলতে থাকে যে, তোমার যা ইচ্ছা তাই করো, তোমার অনেক দিনের আশা পূরণ করে নাও” এই কথা বলার সাথে সাথে ১নং আসামী আবছার উল্লাহ ফারুক (৩২) অবৈধ ভাবে তাহার যৌন কামনা মিটানোর জন্য আমাকে আমার শরীরের সকল কাপড় চোপড় টেনে হেচড়ে ছিড়িয়া ধর্ষনের চেষ্টা করে। আমি বাঁচার জন্য বারবার ডাকচিৎকার করিলে ১নং আসামী আবছার উল্লাহ ফারুক আমাকে চড় থাপ্পর মারতে থাকে এবং আমাকে হুমকি প্রদান করে যে, ভবিষ্যৎ এ আইনের আশ্রয় গ্রহণ করলে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবে। একপর্যায়ে আমি আসামীর বসতঘর হইতে সু-কৌশলে বাহির হইয়া আমার বাড়ীতে চলে যাই। পরবর্তীতে বিষয়টি আইনী সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন, মুরাদপুর, খুলশীর নিকট প্রতিকার চেয়ে আবেদন করিলে তাহারা থানায় নিয়মিত মামলা করার পরামর্শ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইনী সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের পক্ষ থেকে ডবলমুরিং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে দেখা করে সকল আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।